নামঃ অমিত বণিক
গল্পঃ মেয়েদের মাসিক সম্পর্কে নিজের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান আছে । কিন্তু আমাদের সময়ে মাসিক নিয়ে পাঠ্যবইয়ে কখনই লেখালেখি হতো না। মাসিক ছিল নিদারুণ লজ্জার বিষয় ছিল । কেউ এগুলো নিয়ে কথা বলত না। বর্তমান সময়ের মতো এতো সুন্দর স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যেত না। ছোটবেলায় মা কে পুরোনো কাপড় বা ন্যাকড়া ব্যবহার করতে দেখেছি। ব্যবহৃত কাপড় দরজার কোনায় লুকিয়ে রাখতো। তবে সেই কাপড় জনসম্মুখে নাড়াও যেতনা। মন্দিরে যাওয়া হত না। সময়ের পরিবর্তন ঘটেছে। আমার বিয়ের পর স্ত্রীর কাছে জানতে পারি অনিয়মিত মাসিক হওয়ার গল্প। ফুল শয্যার পরের দিন মধ্য রাতে স্ত্রীর প্রথম মাসিক হয়। মাসিক হওয়ার পর স্ত্রী কিছুটা চিন্তিত ছিল। আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে রাতে স্থানীয় ফার্মেসী থেকে স্যানিটারী ন্যাপকিন নিয়ে আসি। মাসিক নিয়ে আমার এই পজিটিভ আচরণের কারণে আমার স্ত্রী অনেক খুশি হয়েছিল। আমি তাকে মাসিক নিয়ে বিচলিত না হলে স্বাভাবিক থাকার কথা বলেছি। পাশাপাশি আমি তার পুষ্টির চাহিদার ব্যাপারে সচেতন থেকেছি। কারণ, আমি জানি এ সময়ে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বিশেষ পুষ্টির প্রয়োজন হয়। দিন যাচ্ছে আর পিরিয়ড নিয়ে মানুষের ভাবনা পরিবর্তন হচ্ছে। গনমাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের বিশেষ করে পুরুষের মাসিক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। আমাদের দেশের অনেক পুরুষই পিরিয়ড নিয়ে ভুল ধারনা পোষণ করে। জয়া স্যানিটারী ন্যাপকিনকে অনেক ধন্যবাদ এই বিষয় নিয়ে এতো গুরুত্ব দেওয়ার জন্য। আশা করছি জয়ার হাত ধরেই সর্বস্তরের মানুষের এই মাসিক বিষয় নিয়ে পরিস্কার জ্ঞান অর্জন করবে। আমি মনেকরি, এভাবেই সব পুরুষের মধ্যে পিরিয়ড নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।